ডেস্ক রিপোর্ট:
দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় সবশেষ ১৭৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। বিমানে মোট ১৮১ জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিমান বিধ্বস্তের আগে এক যাত্রীর শেষ মুহূর্তের কয়েকটি ক্ষুদে বার্তা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্ষুদে বার্তাগুলোতে বোঝা যায়, বিমানে থাকা যাত্রীদের বেঁচে থাকার আশা ক্ষীণ হয়ে আসছিল।
বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ এক যাত্রীর আত্মীয় স্থানীয় নিউজ ওয়ানকে জানান, “বিমানে থাকা আমার পরিবারের সদস্য থেকে একটি বার্তা পাই, যেখানে তিনি বিমানের সমস্যার কথা উল্লেখ করেন। তবে এরপর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না।”
জানা গেছে, ওই যাত্রী সকাল ৯টায় বার্তা পাঠান, “একটি পাখি বিমানের ডানায় আটকে আছে। আমরা অবতরণ করতে পারছি না।” এরপর আরও এক মিনিট পর তিনি লেখেন, “এখনই কি আমার শেষ বার্তাটি রেখে যাব?” এরপর থেকে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আল জাজিরার প্রতিবেদক রব ম্যাকব্রাইড সিউল থেকে জানান, ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটি ছিল বলে মনে হচ্ছে। প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, বিমানটি পেটের ওপর ভর দিয়ে অবতরণ করেছে। রানওয়ে বরাবর পিছলে যাওয়ার পর বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে।
ইয়োনহাপ নিউজ জানিয়েছে, অবতরণের সময় বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে পাখির আঘাতের কারণে এ ত্রুটি দেখা দেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, পাখির আঘাত এ দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হতে পারে। তবে তদন্ত এখনো চলছে।
এদিকে, ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক মুয়ান বিমানবন্দরে উদ্ধার কার্যক্রমে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “সব সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মীদের একত্রিত করে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।”
কম খরচে যাত্রী পরিবহনকারী দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম বিমান সংস্থা জেজু এয়ার এ দুর্ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছে। সংস্থাটি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
Leave a Reply