ডেস্ক রিপোর্ট:
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়া দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া গেছে।
তিন মাস ১৪ দিন পর শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এসময় ১০টি দানবাক্স ও একটি ট্রাঙ্ক ছিল। এতে পাওয়া যায় ২৯ বস্তা টাকা। পরে মসজিদ কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়।
গণনা কাজে অংশগ্রহণ করেন জেলা প্রশাসনের ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১০ জন সেনা সদস্য, ১৭ জন পুলিশ সদস্য, ৯ জন আনসার সদস্য, মাদরাসার ২৮২ শিক্ষার্থী, ৩৬ শিক্ষক ও স্টাফ, রূপালী ব্যাংকের ৭৫ কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ প্রায় ৪০০ জন।
এ সময় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
গণনা শেষে সন্ধ্যা ৬টায় রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
এর আগে ১৭ আগস্ট ৩ মাস ২৬ দিনে পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে পাওয়া যায় ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা। তারপর ২০২৪ সালের ২০ এপ্রিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল, সেসময় পাওয়া যায় ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি জানিয়েছে, দানবাক্স থেকে পাওয়া এসব অর্থ বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা এবং সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। এছাড়া, করোনাকালে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছিল।
এছাড়া, মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। নতুন কমপ্লেক্সের নাম হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’, যা নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। এখানে একসঙ্গে ৬০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
Leave a Reply