ডেস্ক রিপোর্ট:
৫০ বছর ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে। এখনো বাংলাদেশের পাশে আছে দেশটি। এমনকি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সর্বোচ্চ সক্ষমতা অনুযায়ী ভূমিকা রাখতে চীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য উপহার সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন লিউ ইউয়িন।
এদিন উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রিত পাঁচ হাজার রোহিঙ্গার জন্য উপহার সামগ্রী পাঠায় চীন সরকার। এসব উপহার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক মিজানুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- সেলাই মেশিন, চেয়ার, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি, স্যান্ডেল, থামি, থ্রি-পিস ও ওড়নাসহ নানা ধরনের পোশাক। ৫০০ পুরুষ, ৫০০ নারী এবং চার হাজার শিশু এসব উপহার পাবেন।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক মিজানুর রহমানের কাছে উপহার হস্তান্তর করছেন ডেপুটি চিফ অব মিশন লিউ ইউয়িন
লিউ ইউয়িন বলেন, চীন এখনো বাংলাদেশের সঙ্গে। এমনকি মানবিক সহায়তাকারী সংস্থা ও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত চীন। এছাড়া রোহিঙ্গা জনগণের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে ও তাদের প্রত্যাবাসনে সর্বোচ্চ সক্ষমতা অনুযায়ী ভূমিকা রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ চীন।
তিনি বলেন, ৫০ বছর ধরে চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট যেভাবেই বদলাক না কেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক সব সময়ই স্থিতিশীল ছিল। দুই দেশ সব সময় রোহিঙ্গা সংকটসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে একে অপরকে সমর্থন করেছে।
লিউ ইউয়িন আরও বলেন, উপস্থিত ও অনুপস্থিত যারা এই প্রকল্পে কঠোর পরিশ্রম করছেন, আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই তাদের সবাইকে। আপনাদের এই নিষ্ঠা সত্যিকারের মানবতাবাদ ও নিঃস্বার্থ চেতনার প্রতিফলন।
উপহার সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেড ক্রিসেন্টের কক্সবাজার অঞ্চলের পরিচালক আকরাম আলী খান, প্রোগ্রাম ম্যানেজার কেরামত আলী ও চীন দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
Leave a Reply